শিশুর ক্যালোরির অভাব পূরণে ৬ টি খাবার!

প্রকাশঃ এপ্রিল ৯, ২০১৬ সময়ঃ ৬:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:০৯ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক :

46575666শিশুর নিরাপদ আশ্রয়স্থল তার পরিবার। আর পরিবারের মধ্যে  শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে সব চেয়ে বেশি ভাবেন তার মা-বাবা। প্রতিটি মা-বাবাই চান তার সন্তান সুস্থ্য থাকুক। তাই আপনার সন্তানকে সুস্থ্য রাখতে চাইলে আপনি প্রতিদিনের খাদ্যাতালিকায় সংযুক্ত করুন ক্যালোরিযুক্ত এই ৬ টি খাবার। আর ক্যালোরির অভাব থেকে সন্তানকে মুক্তি দিন। ক্যালোরির অভাবে শিশুর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে যায়, ওজন কমে যায়। অবশ্যই বাজেক্যালোরিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস থেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন আস্তে আস্তে। মনে রাখবেন শিশুর সাথে রাগ করলে সে আরও অসুস্থ্ হয়। তাই রাগ না করে ভালোবাসা স্নেহ দিয়ে কৌশলে ফিরিয়ে আনুন। এবার পড়ে নেয়া যায় খাবারের তালিকাটি!

# অ্যাভাকাডো : ক্যালরির প্রথম উৎস হল অ্যাভোকাডো। অ্যাভাকাডো শিশুর ক্যালোরির চাহিদা পুরণ করে ওজন বৃদ্ধি করে থাকে। এটি কলা, বিভিন্ন রকম সবজির সাথে মিশিয়ে শিশুকে খেতে দিতে পারেন।

# দুধ : ফুল ক্রিম দুধ আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। ফুল ক্রিম দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ক্যালোরি রয়েছে। এক বছরের শিশুকে সকাল এবং সন্ধ্যায় এক গ্লাস করে দুই গ্লাস দুধ পান করান। (আর হ্যা মনে রাখবেন এক বছরের নিচের শিশুদের জন্য মায়ের দুধই যথেষ্ট।)

# পনির : এক টুকরো পনির শিশুর ক্যালরির চাহিদা পূরণ করে থাকবে। সকালের নাস্তায় কিংবা বিকেলে খাবারে পনির বা চিজ খেতে দিন।

# কলা : কার্বোহাইড্রেট এবং এনার্জির উৎস হল কলা। পাকা কলা এবং কাঁচা কলা উভয় ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন শিশুকে একটি করে কলা খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। কলা ক্যালোরির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেলসহ বেশ কয়েটি পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে দেবে।

# ডিম : প্রোটিন এবং ক্যালোরির অন্যতম উৎস ডিম। ৮ মাস বয়স থেকেই আপনি আপনার শিশুকে ডিমের কুসুম খেতে দিতে পারেন। পুরো ডিমটি এক বছর বয়সের পরে খেতে দিন।

# বাদাম : বাদাম ছোট বড় সবার প্রিয়। শুধু বাদাম অথবা বাদামের মিল্কশেক কিংবা অন্যান্য খাবারের সাথে বাদাম মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন শিশুকে। এটি শিশুর ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

এছাড়া ক্যালরির চাহিদা পূরণের মিষ্টি আলু, ঘি, মাখন, অলিভ অয়েল ইত্যাদি খাবার খাওয়াতে পারেন। বাইরের খাবার জাঙ্ক ফুড, চিপস, ফাস্ট ফুড এই খাবারগুলো কম খাওয়ানো ভাল।
(যে শিশুর উপযুক্ত বয়স হয়নি তাকি দিয়ে আবার অসুস্থ্য বানাবেন না।)

পতিক্ষণ/এডি/জেআই

===========

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G